পটুয়াখালী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রবিউশন কোম্পানী
(ওজোপাডিকো) পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশালী মোঃ মাঈনউদ্দীন এর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে বিদ্যুৎ বিক্রয় বিতরন, সিষ্টেম লস গ্রাহকসেবা উন্নয়ন এবং অনিয়ম দূর্নীতি রোধের লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ১৬ই
ডিসেম্বর দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা নিয়ে গঠন করা হয় ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো) কোম্পানী গঠনের ২ বৎসর নিয়ম মেনে চলে আসছিলো ওজোপাডিকোর পটুয়াখালীর কার্জক্রম। কিন্তু ২০০৯-১২ সালে তৎকালীন পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রেকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সময় থেকে ওজোপাডিকো
পটুয়াখালীতে দূর্নীতির মহোৎসব শুরু হয়।
পাওয়ার হাউসের ষ্টোরে রক্ষিত তামার তার, ৯ শহর প্রকল্পের ব্যারেল তার চুরি এবং বিক্রয়ের আভিযোগে
তাকে গোপালগঞ্জ জেলায় বদলি করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি মূলক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়। বর্তমানে তিনি
ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশালীর দায়িত্বে রয়েছেন এবং তার আর্শীবাদ পুষ্ঠ হয়ে পটুয়াখালীর ওজোপাডিকোর বর্তামান
ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রেকৌশালী মোঃ মাঈনউদ্দীন স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছে।
মামলা সূত্রে এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওজোপাডিকো পটুয়াখালীতে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানায়,
নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়ম বহির্ভুত ভাবে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিনা টেন্ডারে পটুয়াখালী পৌরসভার ৪ লেন প্রকল্পের
সড়কে তিতাস মোড় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত এবং শহরের নতুন নতুন রাস্তা বর্ধিত করন এবং ড্রেন নির্মানের কারনে প্রায় ৪০০ শ বিদ্যুতের খুটি অপসারন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শহরের বিদ্যুতের ২টি
সোর্স চৌরাস্তা থেকে ১৩২ কেভি গ্রিড এবং ৩৩/১১ কেভি লাইন ডিজবেল্টিং করেছেন যা নিয়ম বহির্ভুত।
সূত্র আরো
জানায়, তিনি শহরের ফটিকের খেয়াঘাটের আলামিনের ১০ তলা ভবন, তিতাস মোড়ে সুবর্না টাওয়ার, নবাব পাড়ার
বিসমিল্লাহ ভবন, বালিকা বিদ্যালয় সড়কের রুপালি ভবন, সবুজবাগ ৩নং লেনের ১০ তলা ভবন, সবুজবাগ ১নং লেনের
পটুয়াখালী টাওয়ার সহ শহরের একাধিক ১০ তলা-৫তলা ভবনে স্টিমেট ছাড়া সংযোগ এবং অস্থায়ী মিটার না দিয়ে
আবাসিক মিটার দিয়ে নির্মান কাজ চালানোর অনুমতি দেয় যাতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাছাড়াও শহরের নির্মানাধীন বহুতল ভবনেও অনুরূপ সংযোগ রয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন শিল্প কারখানা সহ
বহুতল ভবনে অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ওজোপাডিকো পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সহকারী প্রকৌশলী এস.এম.
আব্দুল করিম কে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করলে তিনি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজির্স্টেট ১ম আমলী আদালতে মামলা
দায়ের করেন যাহার মামলা নং- ১৫৩৯ (১৪/১১/২০২২)
দূর্নীতি, অনিয়ম এবং মামলার বিষয় জানতে চাইলে ওজোপাডিকোর পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাঈনদ্দীন কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি তবে এখনও কোন কাগজ পাইনি।
পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওজোপাডিকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ আজাহারুল ইসলাম মুঠো ফোনে বলেন মামলার কাগজ এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি আমরা তদন্তের
নির্দেশ দিয়েছি। প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।